বিমানের যাত্রীদের মোবাইল ফোনে একটি কল করতে এখন পর্যন্ত এয়ারপোর্ট টার্মিনালে পৌঁছানোর জন্যে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (ইএএসএ) যাত্রীদেরকে বিমানে ভ্রমণকালীন সময়ে মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেক্টনিক ডিভাইস ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
সম্প্রতি তারা নিজেদের নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষে ঘোষণার মাধ্যমে এই অনুমতি প্রদান করে জানিয়েছে যে, ইলেক্টনিক ডিভাইস বিমানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনরূপ হুমকি সৃষ্টি করে না।
ইএএসএ উড়োজাহাজের জন্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিধিমালা তৈরি করে থাকে। তাদের মতে প্রতিটি এয়ারলাইনেরই
উচিত বহনযোগ্য সবকয়টি ইলেক্টনিক ডিভাইস ব্যবহারের বিষয়ে বিধিমালা তৈরির পূর্বে বিমানের চলাচলের প্রক্রিয়ায় ঐ ডিভাইসগুলির সিগনাল কোন রকম বাধা সৃষ্টি করে কিনা তা পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে নির্ধারণ করা। কাজটি করতে যেহেতু কিছু সময়ের প্রয়োজন তাই হয়তো কিছু কিছু এয়ারলাইনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে কিছু সময় লাগবে। অবস্থা বিশ্লেষণে অনুমান করা যায় যে, ভিন্ন ভিন্ন এয়ারলাইন মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালাও প্রনয়ন করতে পারে।
তবে যতোই মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকুক না কেন যাত্রীরা কোন অবস্থায়ই ৩৩ হাজার ফুট উপরে থাকাকালীন সময়ে কোনও সিগনালই পাবেন না। তাই অবশ্য করেই এয়ারলাইনগুলিকে বিমানে যাত্রীদের ফোন ও ওয়াই-ফাই কার্যকর করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-এর লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক-এ
যাতায়াত করা একটি মাত্র প্লেনের বিজনেসক্লাস
যাত্রীরা ওয়াই-ফাই ব্যবহার ও মেসেজ পাঠানোর
অনুমতি পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এখনও ব্রিটিশএয়ারওয়েজ যাত্রীদের ফোনে কথা বলাকে সমর্থন দিচ্ছেন না। কারণ
তারা যাত্রীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে জেনেছেন যে, বিমান চলাকালীন সময়ে ফোনে কথা বলার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে যাত্রীরাই শঙ্কিত এই ভেবে যে, তাতে হয়তো তাদের আশে পাশের সকল যাত্রীই সারাটাক্ষণ কানে ফোন লাগিয়ে কথা বলতে থাকবেন।
BDzone4U এর সাথে থাকুন।