বিপণন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বছরের তৃতীয় ভাগে অর্থাৎ এই সেপ্টেম্বরের শেষে স্যামসাং এর মুনাফা গত বছরের তুলনায় শতকরা ৬০ ভাগ কমে গেছে। গতকালই স্যামসাং-এর এক ঘোষণায় এ তথ্য জানা গেছে। ঘোষণা অনুযায়ী এবার প্রতিষ্ঠানটির মোট মুনাফা মাত্র ৩.৮ বিলিয়ন ডলার, বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী যা হওয়ার কথা ছিল অন্তত ৫.২বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু স্যামসাংয়ের মুনাফায় এমন ধ্বস নামলো কেন? আসলে কোম্পানিটি তাদের উচ্চ প্রযুক্তির
ফোনগুলি বাজারজাত করতে বিজ্ঞাপন বাবদ অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করে ফেলেছে। তাছাড়া অন্যান্য কোম্পানির সাথে পাল্লা দিয়ে বাজার ধরে রাখতে তাদের সাশ্রয়ী ও মাঝারি দামের ফোনগুলিও বেশ কম দামেই বিক্রি করতে বাধ্য
হয়েছে। সাথে কোম্পানিটির ফ্ল্যাগশীপ দোকানগুলির বেচা- বিক্রিও তেমন হয় নি।
তারপরেও বছরের শেষ ভাগে আয়টা বাড়বে এমনটাই আশা স্যামসাং-এর, বিশেষ করে তাদের জনপ্রিয় গ্যালাক্সি নোট ৪ এর বিক্রয় সম্ভাবনাই
তাদেরকে সামনে অবস্থা বদলে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ডিভাইস বিক্রির আয় কমে যাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ডিসপ্লে বিক্রি বিপরীতেও আয় কমে গেছে। স্যামসাং সাধারণত নিজেদের পন্যের জন্যে সুপার অ্যামোলেডের সর্বশেষ সংস্করণ রেখে অন্যান্যদের কাছে এর আগের সংস্করণটিই বিক্রি করে থাকে। অন্যান্য কোম্পানির কাছে ডিসপ্লের সর্বাধুনিক সংস্করণ বিক্রি করলে হয়তো স্যামসাং এর মুনাফা ও আয় - দুটোই বাড়তে পারতো। অপরদিকে, অ্যাপেল স্যামসাং-এর এ৯ চিপ ব্যবহার করবে - দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছুদিন আগে এ সংক্রান্ত একটি বড় রকমের আর্থিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে ।
কিন্তু স্যামসাং-এর মুনাফা কমে যাবার কারণে এ চুক্তিও বাতিল হতে পারে। আগামী বছর অ্যাপেলের জন্যে প্রথম ফিনফেট চিপ তৈরি নিয়ে স্যামসাংকে মনে হচ্ছে টিএসএমসি’র সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে। উল্লেখ্য, টিএসএসসি অ্যাপেল-এর কাছ থেকে এ৮ চিপ তৈরির অর্ডারের বেশির ভাগটাই নিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।